আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি করবেন
আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি করবেন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি করবেন এ সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি না করে আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি করবেন এ সম্পর্কে জেনে নিন।
আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি করবেন এ সম্পর্কে আপনাদের জন্য নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি করবেন তা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আর বিলম্ব না করে চলুন আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি করবেন এ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি করবেন
আলসারেটিভ কোলাইটিস কতক্ষণ স্থায়ী হয়
আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ আমাদের দেশে তেমন পরিচিত নয়। ইউরোপ এবং আমেরিকাতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। কিন্তু বর্তমানে তাদের অন্ধ অনুকরণের জন্য আমাদের দেশেও আলসারেটিভ কোলাইটিস দেখা যাচ্ছে। আলসারেটিভ কোলাইটিসের সাথে ক্রোনোজ ডিজিজের বেস মিল রয়েছে। অনেক সময় এই দুই অসুখের মধ্যে পার্থক্যই করা যায় না।
এ দুই অসুখকে একসাথে "ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ" বলা হয়। সাধারণত বীজ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের আলসারেটিভ কোলাইটিস হয়। বংশগতির সাথে এই রোগের সম্পর্ক রয়েছে। আলসারেটিভ কোলাইটিস ঠিক হতে এক একজনের ক্ষেত্রে একেকরকম সময় লাগে। কারো ক্ষেত্রে ফ্লেয়ার আপ হতে দিন বা সপ্তাহ লাগতে পারে।
মওকুফ মাস বা এমনকি বছর ধরেও স্থায়ী হতে পারে। তাই আলসারেটিভ কোলাইটিস স্থায়ী হয় তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি করবেন এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি করবেন
আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ আমাদের দেশে তেমন পরিচিত নয়। তারপরও আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকেন আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি করবেন এই সম্পর্কে। ঔষধ খেলে কোলাইটিস সেরে যাবে। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন গুলির জন্য হঠাৎ করে কোলাইটিস হলে ৭-১০ দিন অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ঔষধ খেলে রোগ ভালো হয়ে যাবে।
ভাইরাল কারণে অসুখ হলে নিজে থেকেই সেরে যাবে। কিছু কিছু ভাইরাসের জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ আছে সেটি দু এক মাস খেলেই চলে। এগুলি একিউট কোলাইটিস। আলসারেটিভ কোলাইটিস ক্রোনস ডিজিজ বা টিউবারকুলোসিসের কারণে কোলাইটিস হলে দীর্ঘদিন ভোগায়। এগুলো ক্রনিক অসুখ। তারও আলাদা ওষুধ আছে।
শরীরের অন্য অংশের মতোই টিভির কারণে কোলাইটিস হলে ১২ মাসেই ওষুধ খেতে হয়। ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে মানুষ ভালো থাকে। খুব কম রোগের ক্ষেত্রে অসুস্থতা খুব বেশি হলে তবে অপারেশন দরকার পড়ে। তবে সাধারণত ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে চিরতরে আলসারেটিভ কোলাইটিস দূর করা সম্ভব। দশ হাজারে মাত্র একজন রোগীর কোলাইটিস থেকে ক্যান্সার হতে পারে। অর্থাৎ এর সম্ভাবনা নগণ্য।
আলসারেটিভ কোলাইটিস ব্যথা কেমন হয়
ইতোমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি করবেন। এবার আপনারা জানতে পারবেন আলসারেটিভ কোলাইটিস ব্যথা কেমন হয় তা সম্পর্কে।আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে পেটের ব্যথা আপনার অন্তরে চারলি ঘোরার মত খসখসে অনুভব করতে পারে। এটি মলত্যাগ এর আগে বা আপনি যাওয়ার সময় ঘটতে পারে। আপনার শরীরের অন্যান্য অংশ ব্যথা হতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত কিছু লোকের জয়েন্ট গুলোতেও ব্যথা হয়।
কোলাইটিস রোগের প্রধান কারণ কি
আলসারেটিভ কোলাইটিসের কারণ অনিশ্চিত। তবে আলসারেটিভ কোলাইটিস এর প্রধান উপসর্গ বা কারণ গুলোর মধ্যে হচ্ছে পৈটিক ব্যথা এবং আন্তরিক রক্তপাত। আর তাই এর কারণগুলো সম্পর্কে আপনাদের জেনে থাকা দরকার। জিনগত বা পারিবারিক সমস্যার কারণেও আলসারেটিভ কোলাইটিস হয়ে থাকে। আলসারেটিভ কোলাইটিস ধূমপান করার কারণে হয়ে থাকে। ধূমপানিয়রা দ্বিগুণ হয়ে ক্রোনের রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
আরো পড়ুনঃ বিয়ের আগে ছেলেদের শারীরিক প্রস্তুতি
বিপরীতে, ধূমপানিয়দের মধ্যে আলসারেটিভ কোলাইটিস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে মাত্র এক-অর্ধেক। ইমিউন সিস্টেম প্রতিরোধ ব্যবস্থাতে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন প্রদাহ জানক অন্ত্রের রোগে অবদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে কোনটি বিশেষত আলসারেটিভ কোলাইটিস বা কোন রোগের কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয়নি। আরো বিভিন্ন রকম কারণ রয়েছে আলসারেটিভ কোলাইটিস হওয়ার।
আমাদের শেষ কথা
আলসারেটিভ কোলাইটিস হচ্ছে একটা দীর্ঘ মেয়াদী ব্যাধি যা পরিপাক নালীর বৃহদন্ত্রকে আক্রমণ করে। যদিও আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত তেমন আলসারেটিভ কোলাইটিস এর বেশি রোগী পাওয়া যায়নি। আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোতে আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ দেখা যায়। আলসারেটিভ কোলাইটিস সাধারণত ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের হয়ে থাকে।
তবে অনেক সময় ২০ বছর বয়সীদের থেকে কম বয়সেও দেখা যায়। আবার অনেক সময় আলসারেটিভ কোলাইটিস বংশগত কারণেও হয়ে থাকে। তবে ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা সম্ভব। যদি ঠিকমতো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা যায় তাহলে অবশ্যই আলসারেটিভ কোলাইটিস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারেন।
আশা করি তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি করবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বুঝতে পেরেছেন।
প্রতিনিয়ত এরকম গুরুত্বপূর্ণ টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বেশি বেশি করে শেয়ার করবেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪২
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url