রক্তদাতা রক্ত দান করার কতক্ষণ পরে সহবাস করতে পারবেন

আপনারা কি রক্তদাতা রক্ত দান করার কতক্ষণ পরে সহবাস করতে পারবেন ও রক্তদান করার পর যে লক্ষণগুলো শরীরে দেখা দিলে বিপদ সে সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। আজকে আমরা আলোচনা করব রক্তদাতা রক্ত দান করার কতক্ষণ পরে সহবাস করতে পারবেন বা রক্ত দান করার পর কি যৌন মিলন করা যাবে সে সম্পর্কে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই, রক্তদাতা রক্ত দান করার কতক্ষণ পরে সহবাস করতে পারবেন সে সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ রক্তদাতা রক্ত দান করার কতক্ষণ পরে সহবাস করতে পারবেন

রক্তদাতা রক্ত দান করার কতক্ষণ পরে সহবাস করতে পারবেন

একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের স্বেচ্ছায় রক্ত দেওয়ার প্রক্রিয়ায় হচ্ছে রক্তদান। এই দান করা রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয়ে থাকে কিংবা অংশীকরণের মাধ্যমে ঔষধে পরিণত করা হয়ে থাকে। উন্নত দেশগুলোতে বেশিরভাগ রক্তদাতাই হচ্ছেন স্বেচ্ছায় রক্তদাতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যারা রক্ত দান করে থাকেন। এধরনের প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা দরিদ্র দেশগুলোতে বেশ কম। বেশিরভাগ রক্তদাতাই কেবল তাদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রয়োজনে রক্তদান করেন।

আরো পড়ুনঃ যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে

সমাজ সেবামূলক কাজ হিসেবে বেশিরভাগ রক্তদাতাই রক্ত দান করে থাকেন। এখন কথা হচ্ছে রক্তদাতা রক্ত দান করার কতক্ষণ পরে সহবাস করতে পারবেন। রক্তদান করার সাথে সহবাসের কোন সম্পর্ক নাই। অর্থাৎ আপনি যদি রক্ত দান করার পরেও দুর্বল অনুভব না করে থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে সহবাস করতে পারবেন। এতে কোন বাধা ধরা নিয়ম নাই।

রক্ত দান করার আগে যে পরীক্ষা গুলো করা উচিত

রক্ত দান করার আগে ক্রস ম্যাচিং করতে হয়। ডোনার রক্তদাতার দেওয়া রক্ত কিংবা ব্লাড ব্যাংকে দান করা সংরক্ষিত রক্ত রোগীকে দেয়া যাবে কি যাবে না সেটা যে পদ্ধতিতে নির্ণয় করা হয়ে থাকে সে পদ্ধতিকে বলা হয় Compatiblity testing, যাকে চলিত কথাতে বলা হয় Cross-match। এটাকে চারভাগে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। যথা-

  • Patient Blood grouping অর্থাৎ রক্ত গ্রহীতা বা রোগীর রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা।
  • Donor Blood grouping অর্থাৎ ব্লাড ব্যাংকে থাকা দান করা রক্ত বা রক্তদাতার রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা।
  • Cross-match অর্থাৎ রক্তদাতা এবং রোগীর রক্ত পরস্পরের সাথে খাপ খায় কিনা সেটা নির্ণয় করবার পদ্ধতি।
  • Patient antibody Screening অর্থাৎ রোগীর রক্তের ভেতর এন্টি বডি আছে কিনা তা পরীক্ষা করা।

রক্ত দান করার পর কি যৌন মিলন করা যাবে

রক্তদান করা একটা মহৎ কাজ। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যদি স্বেচ্ছায় একজন রোগীকে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচায় তাহলে এর চাইতে মহৎ কাজ আর দ্বিতীয়টি হতে পারে না। তবে রক্ত দেয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। তাই সকল নিয়ম কানুন মেনে রক্ত দেয়া উচিত। নিয়ম মেনে রক্ত দিলে কখনো জীবনের ঝুঁকি আসে না। তাই বেশিরভাগ মানুষ সমাজসেবামূলক কাজ হিসেবে রক্ত দিয়ে থাকেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পেশাদার রক্ত থেকে থাকে। আবার কেউ অর্থের বিনিময়ে ও রক্ত দান করে থাকেন। এই রক্তদান করার সময় অনেকের মনে প্রশ্ন আসে যে রক্ত দান করার পর কি যৌন মিলন করা যাবে কি না সে বিষয়ে।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে টাকা কামানোর উপায়

আসলে রক্ত দান করার সাথে যৌন মিলনের কোন সম্পর্ক নাই এটা একান্তই আপনার মনের বিষয়। আপনার শরীরের সুস্থতার ওপর বিবেচনা করে আপনি যৌন মিলন করতে পারেন। তবে আপনার সুস্থতার কথা বিবেচনা করে বলা হয়ে থাকে যে, যদি আপনি সদ্য রক্ত দান করে থাকেন এবং এর পরেই সহবাস করতে পারেন। তবে আপনার দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত না থাকার কারণে নিজেই আপনি অনেকটা দুর্বল অনুভব করবেন। তাই যদিও যৌন মিলন করলে সেরকম সমস্যা হয় না তথাপি আপনার শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে যৌন মিলন করা থেকে বিরত থাকায় উত্তম হবে।

রক্তদান করার পর যে লক্ষণগুলো শরীরে দেখা দিলে বিপদ

এখনো রক্তের কোন বিকল্প বের করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই কারো শরীরে যখন রক্তের প্রয়োজন হয়ে থাকে তখন অন্যজনের শরীর থেকে নির্দিষ্ট উপায়ে রক্ত সংগ্রহ করার পর রক্ত দেয়া লাগে। এই রক্ত আবার নিরাপদ হওয়াটা অনেক জরুরি। কেননা পেশাদার রক্তদাতা কাছ থেকে রক্ত নিলে এইডস কিংবা এইচআইভি হবার ঝুঁকি থাকে। সেজন্য যখন রক্তের প্রয়োজন হয় তখন নিজের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করার অনুরোধ জানানো হয়। কেননা এ সকল রক্তগুলো বিশুদ্ধ হবার সম্ভাবনাই থাকে বেশি।

যেহেতু আমাদের দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা চাহিদা অনুপাতে এখনো অনেক নগণ্য। সেজন্য রক্তের প্রয়োজনে নিজের আত্মীয়রায় রক্ত দান করে থাকেন। কিন্তু তারপরও বিপত্তি এর সম্ভাবনা থেকেই যাই। তবে সেই আশঙ্কা লাখে একজন মানে অনেকটাই কম। তবে এই বিপত্তি যার ক্ষেত্রে ঘটে তার মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় 90%। রক্ত ও একটা মানুষের শরীরের অংশ, অর্থাৎ একজনের শরীরে আরেকজন প্রবেশ করলে সেটা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। এই ঝুঁকির কারণ হচ্ছে প্রত্যেক মানুষের শরীরে তার নিজের একটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে থাকে।

আরো পড়ুনঃ বিয়ের আগে ছেলেদের শারীরিক প্রস্তুতি

এটা বেশ কয়েকটা উপাদান ও স্থলে সজ্জিত হয়ে থাকে। নতুন কোন কিছু প্রবেশ করলে তাকে স্তরে স্তরে বাধা দান করে সরিয়ে ফেলা হয়ে থাকে। সেটা করতে যখন ব্যর্থ হয় তখনই বিপত্তি ঘটে। নিকটস্থ আত্মীয় রক্ত প্রদান করলে সেটা রক্তগ্রহীতার শরীরে আলাদাভাবে চিনতে পারেনা, তাদের মাঝে যেহেতু জিনগত সাদৃশ্য থাকে। ফলে সেটা চামড়ার নিচে, খাদ্যনালীতে ও লিভারে জমা হতে শুরু করে। স্বাভাবিক কাজে একসময় বাধা দিতে শুরু করে। সাধারণত এটা শুরু হয় রক্ত গ্রহণের আট থেকে দশ দিন পর থেকে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৩০ দিন পরেও দেখা যেতে পারে।

শেষ কথাঃ রক্তদাতা রক্ত দান করার কতক্ষণ পরে সহবাস করতে পারবেন

রক্তদাতা রক্ত দান করার কতক্ষণ পরে সহবাস করতে পারবেন বা রক্ত দান করার পর কি যৌন মিলন করা যাবে সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। রক্তদাতা রক্ত দান করার কতক্ষণ পরে সহবাস করতে পারবেন সে সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।

আজ আর নয়, রক্তদাতা রক্ত দান করার কতক্ষণ পরে সহবাস করতে পারবেন সে সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই রক্তদাতা রক্ত দান করার কতক্ষণ পরে সহবাস করতে পারবেন সে সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url