শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে নষ্ট করে কোন ভিটামিন
আপনি কি জানেন শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে নষ্ট করে কোন ভিটামিন? কিছু ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে নষ্ট করে দেয়। আপনাদের মধ্যে অনেকেই এখনো ভিটামিন P এর নাম জানেন না। আজ আমরা শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে নষ্ট করে কোন ভিটামিন তা জানাবো। শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে নষ্ট করে কোন ভিটামিন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
শরীরের জন্য অন্যান্য ভিটামিন যেমন খুব দরকার তেমন ভাবে ভিটামিন P ও আমাদের শরীরের জন্য খুব প্রয়োজন। এই ভিটামিন শরীরের অনেক গুরতর অসুখ থেকে মানুষকে বাঁচায়। ভিটামিন P কে এখন ফ্ল্যাভানয়েডস বলা হয়। আর শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রথমে ফ্ল্যাভানয়েডস এর নাম সামনে আসে। নিচে আমরা শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে নষ্ট করে কোন ভিটামিন ও ভিটামিন P এর অভাব দূর করে কোন খাবার তা জানাবো।
সূচিপত্রঃ শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে নষ্ট করে কোন ভিটামিন
- ভিটামিন P কি?
- শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে নষ্ট করে কোন ভিটামিন
- ভিটামিন P এর উপকারিতা
- ভিটামিন P এর অভাব হলে লক্ষণ
- ভিটামিন P এর ঘাটতি কমাতে যা খাবেন
- ভিটামিন P এর ঘাটতির চিকিত্সা
- শেষ কথা
ভিটামিন P কি?
ফ্ল্যাভোনয়েডস বা বায়োফ্ল্যাভোনয়েডস যা আগে ভিটামিন পি নামে পরিচিত ছিল। ভিটামিন পি হল হলুদ পলিফেনলিক যৌগ যা প্রাকৃতিকভাবে উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারে পাওয়া যায় যেমন গাড়ো রঙের ফল, শাকসবজি, চা, কোকো এবং ওয়াইন এটা সাধারণত মানুষের খাবারে খাওয়া হয়।
৬০০০ টিরও বেশি পরিচিত ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা অনেক কাজ করেঃ
- গাছপালাকে রঙ দেওয়া,
- বৃদ্ধিতে সাহায্য করে,
- পরাগায়নের জন্য পোকামাকড় আকৃষ্ট করা এবং
- অতিবেগুনী রশ্মি, সংক্রমণ এবং পরিবেশগত চাপ থেকে রক্ষা করা।
শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে নষ্ট করে কোন ভিটামিন
ভিটামিন P এর উপকারিতা
ভিটামিন পি ভিটামিন সি এর সাথে যুক্ত। এটি পোড়ার মত অসুস্থতার উপর খুব ভালো প্রভাব ফেলে, রেটিকুলোসাইট গঠনে সাহায্য করে এবং কোষের শ্বসন বৃদ্ধি করে। কিন্তু আপনি কি জানেন ভিটামিন P এর অভাব দূর করে কোন খাবার বা ভিটামিন P এর ঘাটতি কমাতে যা খাবেন। জানতে পড়তে থাকুন।ভিটামিন পি এর একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে এটি বিভিন্ন ধরণের ভাইরাস, অ্যালার্জেন এবং কার্সিনোজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে এটি সূর্যের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
ভিটামিন P তে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ক্যান্সার অ্যাক্টিভিটি রয়েছে। ক্যান্সার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকা রয়েছে। যাদের খুব সহজে শরীরে ঘা হওয়ার সমস্যা আছে, তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি এবং ভিটামিন পি বাড়াতে হবে। তাই জানতে হবে ভিটামিন P এর অভাব দূর করে কোন খাবার বা ভিটামিন P পাওয়া যায় যেসব খাবারে। এছাড়াও ব্রাশ করার সময় যাদের মাড়ি থেকে রক্তপাত হয় তাদের ক্ষেত্রেও ভিটামিন পি খুব উপকারি।
ভিটামিন P এর অভাব হলে লক্ষণ
ভিটামিন P এর অভাবের লক্ষণগুলি ভিটামিন সি-এর অভাবের মতোই। তবে ভিটামিন P এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শরীরে খুব সহজে ক্ষত হওয়া, ভিতরের রক্তপাতের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া এবং রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
যেহেতু ভিটামিন P এর অভাবের লক্ষণগুলি ভিটামিন সি-এর অভাবের মতোই তাই আপনারা হয়তো শরীরে এর অভাব হলে তাৎক্ষণিক ভাবে বুঝতেও না পারেন। কিন্তু আপনারা যদি আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে নষ্ট করে কোন ভিটামিন এই পোষ্টটি পড়েন তাহলে আশা করি ভিটামিন P এর অভাব হলে লক্ষণ গুলো একটু হলেও বুঝতে পারবেন।
ভিটামিন P এর ঘাটতি কমাতে যা খাবেন
ভিটামিন P এর সেরা উত্স হল হলুদ, কমলা এবং লাল রঙের ফল এবং শাকসবজি। পাশাপাশি সাধারণ সাইট্রাস ফল যেমন আম, এপ্রিকট, কমলা, আঙ্গুর এবং অন্যান্য ধরনের ফল। ভিটামিন পি লেবু, চেরি, প্রুন এবং আঙ্গুরেও পাওয়া যায়। যে বেশিরভাগ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পি রয়েছে তা হল গাজর, টমেটো, গোলমরিচ, ব্রকলি, পেঁয়াজ এবং পার্সলে।
আরো পড়ুনঃ ব্রণের কালো দাগ থেকে মুক্তির প্রাকৃতিক সমাধান
এছাড়াও ভিটামিন P এর ঘাটতি কমাতে যা খাবেন বা ভিটামিন P পাওয়া যায় যেসব খাবারে তা হল সবুজ চা, লাল ওয়াইন এবং ডার্ক চকলেট। আবার পেঁপে, চেরি, বাকউইট এবং বাদাম থেকেও প্রচুর পরিমণে ভিটামিন P রয়েছে। এখান থেকে আপনারা জানতে পারেন ভিটামিন P এর অভাব দূর করে কোন খাবার ও ভিটামিন P এর ঘাটতি কমাতে যা খাবেন।
ভিটামিন P এর ঘাটতির চিকিত্সা
শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে নষ্ট করে কোন ভিটামিন তা আমরা উপরে জেনেছি। কিন্তু এর চিকিৎসার জন্য ভিটামিন পি আছে এমন আরও খাবার খাওয়া এবং ভিটামিন পি আছে এমন ট্যাবলেট বা বড়ি খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এর জন্য আপনার ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও আপনি ঔষধের দোকানে ও পাবেন।
তবে চা থেকে আসা ভিটামিন পি এর ঔষধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায়। সবুজ চা এর রস সবচেয়ে সাধারণ যদিও আপনি উলং এবং কালো চা থেকেও ভিটামিন P পেতে পারেন। সাইট্রাস থেকে তিন ধরনের বায়োফ্ল্যাভোনয়েড পাবেন এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভানোনস, ফ্ল্যাভোনস এবং ফ্ল্যাভোনল। তবে এসবের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ দরকার।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে টাকা কামানোর উপায়
এছারাও ভিটামিন P পাওয়া যায় যেসব খাবারে তা উপরে আলোচনা করেছি সেখান থেকে জেনে আপনারা খাবার গুলো খেতে পারেন। বায়োফ্ল্যাভোনয়েড সাধারণত নিরাপদ। ভিটামিন পি শরীরে অল্প পরিমাণে জমা হয় যদিও বেশির ভাগই প্রস্রাব এবং ঘামে নষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক শরীরে খুব বেশি পরিমাণ ভিটামিন পি এর কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। আবার গর্ভবতী মহিলাদের ভিটামিন P এর ডোজ দেওয়া ঠিক না।
শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে নষ্ট করে কোন ভিটামিন - শেষ কথা
ফ্ল্যাভোনয়েডস যা একসময় ভিটামিন পি নামে পরিচিত ছিল। এর অভাবে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন যাদের শরীরে আর্থ্রাইটিস রোগ আছে তাদের প্রদাহ আরো বেড়ে যেতে পারে, খুব বেশি ভিটামিন প এর অভাব হলে দাঁত ও মাড়ির সমস্যা, অ্যানিমিয়া এবং ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। আর ভিটামিন P পাওয়া যায় যেসব খাবারে তা হল বিভিন্ন ধরণের উদ্ভিদ খাবারে। উপরের আলোচনা থেকে আপনরা শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে নষ্ট করে কোন ভিটামিন তা ভালোভাবে জানতে পারেন।[জব আইডি= ২২৪৯৮]
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url