বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে কনডম ও পিলের বিকল্প কি

বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে কনডম ও পিলের বিকল্প কি? তা জানতে চাইলে নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিচে বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে কনডম ও পিলের বিকল্প কি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর তুলে ধরা হবে। চলুন দেখে নেই, বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে কনডম ও পিলের বিকল্প কি?

পেজ সূচিপত্র: বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে কনডম ও পিলের বিকল্প কি

ভূমিকা

বাংলাদেশের জন্মনিয়ন্ত্রণের যে সকল পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে জনপ্রিয় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলো হল জন্মনিরোধক পিল খাওয়া এবং কনডম ব্যবহার করা। কনডম ও পিলের বিকল্প জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিও বাংলাদেশের রয়েছে, তবে সেগুলো খুব অল্প মানুষই ব্যবহার করে থাকে। 

যাইহোক বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে কনডম ও পিলের বিকল্প যে সকল পদ্ধতি রয়েছে, সেই পদ্ধতি সমূহ সম্পর্কে নীচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে কনডম ও পিলের বিকল্প কি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। 

কনডম এর সুবিধা ও অসুবিধা

কনডম ব্যবহার করার বেশ কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। আপনি যদি কনডম ব্যবহার করার সুবিধা এবং অসুবিধা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে চান সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। কেননা এই আর্টিকেলটিতে কনডম এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। কনডম এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। 

কনডম এর সুবিধা সমূহ: 
  • অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ রোধ করে: কনডম ব্যবহার করার মূল উদ্দেশ্য হলো অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ রোধ করা। আপনি যদি সঠিক নিয়মে কনডম ব্যবহার করেন তাহলে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ রোধ করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্য সবথেকে বেশি ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো কনডম ব্যবহার করা। 
  • যৌনবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়: কনডম ব্যবহার করলে বাড়তি যে সুবিধা পাওয়া যায় তা হল অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ রোধের পাশাপাশি কনডম সব ধরনের যৌনবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। অন্যান্য যে সকল জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে সেগুলোর যৌনবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে না। আর এ কারণেই কনডম এতটা জনপ্রিয় ও কার্যকর জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। 
  • সব জায়গায় পাওয়া যায়: কনডম খুবই কমন একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হওয়ার পরে বিশ্বের সর্বত্রই কনডম পাওয়া যায়। তাই আপনি যেকোনো জায়গা থেকে যখন ইচ্ছা তখন খুব সহজেই কনডম ক্রয় করতে পারবেন।
  • ব্যবহার করা খুবই সহজ: কনডম ব্যবহার করার জন্য তেমন কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। কনডমের প্যাকেটে থাকা নির্দেশনা অনুযায়ী খুব সহজেই আপনি কনডম ব্যবহার করতে পারবেন। কনডম জনপ্রিয় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হওয়ার পিছনে আরেকটি অন্যতম কারণ হলো এটি খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। 
  • কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই: কনডম ব্যবহার করার সাধারণত তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এলার্জির সমস্যা দেখা দিলেও তা অন্যান্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক ক্রিয়ার তুলনায় খুবই সামান্য। 
কনডম এর অসুবিধা সমূহ: 
  • সেন্সিটিভিটি কমিয়ে ফেলতে পারে: কনডম ব্যবহার করার অনেক সুবিধা থাকলেও কনডম ব্যবহার করার কিছু অসুবিধা রয়েছে। যেমন এটি আপনার সেনসিটিভিটি কমিয়ে ফেলতে পারে। এর ফলে আপনার এবং আপনার পার্টনারের কিছুটা অস্বস্তি বোধ হতে পারে। 
  • ছিঁড়ে যেতে পারে বা স্লিপ করতে পারে: কোন কারনে যদি কনডম ছিঁড়ে যায় কিংবা স্লিপ করে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি কনডম  ব্যবহার করার সম্ভাব্য সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন এবং সে ক্ষেত্রে গর্ভধারণ হয়ে যেতে পারে, কিংবা যৌনবাহিত রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।  
  • যৌন মিলনে অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে: কিছু কিছু ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করলে যৌন মিলনে অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি উপযুক্ত কনডম ব্যবহার না করেন সেক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ কনডম যদি পারফেক্ট সাইজের না হয় সে ক্ষেত্রে অনেক ঢিলেঢালা হতে পারে এর ফলে স্লিপ করার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি অত্যধিক পরিমাণে টাইট হয় সেক্ষেত্রে ছিঁড়ে যেতে পারে। 
  • এলার্জি বৃদ্ধি করতে পারে: আপনার যদি এলার্জিজনিত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করলে এলার্জির সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। 

পিল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে কনডম ও পিলের বিকল্প কি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে চাইলে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে। কেননা নিচে, বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে কনডম ও পিলের বিকল্প কি? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর তুলে ধরা হবে। সুতরাং বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে কনডম ও পিলের বিকল্প কি? সে বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে। 
গর্ভনিরোধক পিল খাওয়ার কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। গর্ভনিরোধক পিল খেলে যে সকল উপকার পাওয়া যায়, সেগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে। এর পাশাপাশি গর্ভনিরোধক পিল খেলে যে সকল ক্ষতি হতে পারে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কেও নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তো আসুন জেনে নেয়া যাক, পিল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। 

পিল খাওয়ার উপকারিতা সমূহ: 
  • জন্মনিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • দিনের যেকোনো সময় খাওয়া যায়।
  • মাসিক ঋতুচক্র নিয়মিত করে।
  • ডিম্বাশয় এবং এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
  • যে কোন সময় পিল খাওয়া বন্ধ করে কনসিভ হওয়া যায়।
পিল খাওয়ার অপকারিতা সমূহ: 
    • সাইড ইফেক্ট।
    • প্রতিদিন ঔষধ খাওয়ার ঝামেলা।
    • স্বাস্থ্য ঝুকি।
    • যৌনবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষা দেয় না।
    • পরবর্তীতে গর্ভধারণে সমস্যা হওয়া।

    বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে কনডম ও পিলের বিকল্প কি

    কনডম ও গর্ভনিরোধক পিল সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হলেও এই পদ্ধতি দুটি ছাড়াও জন্মনিয়ন্ত্রণের আরো অনেক পদ্ধতি রয়েছে। কনডম ও গর্ভনিরোধক পিলের পরিবর্তে অন্যান্য যে সকল জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আর্টিকেলটির এই অংশে বিস্তারিত আলোকপাত করা হবে। তো আসুন জেনে নেয়া যাক, বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে কনডম ও পিলের বিকল্প কি?
    • IUDs ব্যবহার করা: কনডম ও পিলের বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে সর্বাধিক ব্যবহৃত জন্মনিরোধক পদ্ধতি হলো IUDs. এই পদ্ধতির মাধ্যমে বিশেষ একটি ডিভাইস নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। এর ফলে ওভারিতে শুক্রাণু প্রবেশ করতে পারে না। 
    • ইনজেকশন: ইনজেকশন হতে পারে কনডম ও পিলের বিকল্প আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি। তাই আপনি চাইলে কনডম ও পিলের বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে ইনজেকশন ব্যবহার করতে পারেন। নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্য আলাদা আলাদা বিভিন্ন মেয়াদী গর্ভনিরোধক ইনজেকশন পাওয়া যায়। 
    • সেইফ পিরিয়ডে সহবাস: আপনি যদি কোন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে সেইফ পিরিয়ডে সহবাস করতে হবে। মাসে একটি ঋতুচক্রের নির্দিষ্ট একটি সময় রয়েছে যখন শুক্রাণু ফার্টিলাইজ হয় না। সেই সময় যদি আপনি সহবাস করেন তাহলে গর্ভধারণের আশঙ্কা থাকে না। তাই আপনি যদি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে চান সে ক্ষেত্রে সেইফ পিরিয়ডে সহবাস আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে।
    • উইথড্রোয়াল মেথড: প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণের আরেকটি পদ্ধতি হলো উইথড্রোয়াল মেথড। এই পদ্ধতির মাধ্যমেও প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়। উইথড্রোয়াল পদ্ধতি হলো যোনির বাইরে বীর্যপাত করা। যেহেতু বীর্য যোনিতে প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকে না তাই এই পদ্ধতিও কার্যকর জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। 
    • ফিমেল কনডম: কনডম ও পিলের বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে ফিমেল কনডম ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও ফিমেল কনডম খুব অল্প মানুষই ব্যবহার করে থাকে। তবে এটিও খুবই কার্যকর একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। 

    উপসংহার

    আপনি যদি প্রথম থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে কনডম ও পিলের বিকল্প কি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পেরেছেন। কেননা কনডম ও গর্ভনিরোধক পিল ব্যতীত অন্যান্য যে সকল জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। ১৬৪১৩

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url