রক্তদান করার পর শরীরে যে সকল লক্ষণে বুঝবেন বিপদ
সূচিপত্রঃ রক্তদান করার পর শরীরে যে সকল লক্ষণে বুঝবেন বিপদ
- রক্তদান করার পর শরীরে যে সকল লক্ষণে বুঝবেন বিপদ
- কি কি লক্ষণ দেখা যায়
- প্রতিরোধের উপায়
- রক্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কি করা উচিত
- শেষ কথা
রক্তদান করার পর শরীরে যে সকল লক্ষণে বুঝবেন বিপদ
এখনো রক্তের কোন বিকল্প বের করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই কারো শরীরে যখন রক্তের প্রয়োজন হয়ে থাকে তখন অন্যজনের শরীর থেকে নির্দিষ্ট উপায়ে রক্ত সংগ্রহ করার পর রক্ত দেয়া লাগে। এই রক্ত আবার নিরাপদ হওয়াটা অনেক জরুরি। কেননা পেশাদার রক্তদাতা কাছ থেকে রক্ত নিলে এইডস কিংবা এইচআইভি হবার ঝুঁকি থাকে। সেজন্য যখন রক্তের প্রয়োজন হয় তখন নিজের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করার অনুরোধ জানানো হয়। কেননা এ সকল রক্তগুলো বিশুদ্ধ হবার সম্ভাবনাই থাকে বেশি।
যেহেতু আমাদের দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা চাহিদা অনুপাতে এখনো অনেক নগণ্য। সেজন্য রক্তের প্রয়োজনে নিজের আত্মীয়রায় রক্ত দান করে থাকেন। কিন্তু তারপরও বিপত্তি এর সম্ভাবনা থেকেই যাই। তবে সেই আশঙ্কা লাখে একজন মানে অনেকটাই কম। তবে এই বিপত্তি যার ক্ষেত্রে ঘটে তার মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় 90%। রক্ত ও একটা মানুষের শরীরের অংশ, অর্থাৎ একজনের শরীরে আরেকজন প্রবেশ করলে সেটা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। এই ঝুঁকির কারণ হচ্ছে প্রত্যেক মানুষের শরীরে তার নিজের একটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে থাকে।
আরো পড়ুনঃ রক্ত দিলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় কি না জেনে নিন বিস্তারিত
এটা বেশ কয়েকটা উপাদান ও স্থলে সজ্জিত হয়ে থাকে। নতুন কোন কিছু প্রবেশ করলে তাকে স্তরে স্তরে বাধা দান করে সরিয়ে ফেলা হয়ে থাকে। সেটা করতে যখন ব্যর্থ হয় তখনই বিপত্তি ঘটে। নিকটস্থ আত্মীয় রক্ত প্রদান করলে সেটা রক্তগ্রহীতার শরীরে আলাদাভাবে চিনতে পারেনা, তাদের মাঝে যেহেতু জিনগত সাদৃশ্য থাকে। ফলে সেটা চামড়ার নিচে, খাদ্যনালীতে ও লিভারে জমা হতে শুরু করে। স্বাভাবিক কাজে একসময় বাধা দিতে শুরু করে। সাধারণত এটা শুরু হয় রক্ত গ্রহণের আট থেকে দশ দিন পর থেকে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৩০ দিন পরেও দেখা যেতে পারে।
কি কি লক্ষণ দেখা যায়
রক্তদানের পর শরীরে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। যেহেতু আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর হার ৯০%। সেক্ষেত্রে এই সময়ের ভেতর তেমন কোন লক্ষণ দেখলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিশেষ করে রক্ত রোগ বিশেষজ্ঞ এর কাছে দেখাতে হবে। শরীরে রক্ত দেয়ার পর যে লক্ষণগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন যে বিপদ সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো-
আরো পড়ুনঃ ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস বাংলাদেশ
- রক্তের সকল উপাদান কমে যাওয়া।
- জন্ডিস হওয়া যেহেতু লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
- ডায়রিয়া হওয়া ইত্যাদি।
প্রতিরোধের উপায়
যে সকল রোগীর রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম থাকে তাদের ক্ষেত্রে এরকমটা ঘটার সম্ভাবনায় বেশি থাকে। তাই তাদের ক্ষেত্রে রক্ত প্রদানের সময় নিকট আত্মীয় নয় এরকম কারো রক্ত নেয়ায় নিরাপদ। বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রেও এরকমটা ঘটতে পারে। সেজন্য সার্বিকভাবে জীবন বাঁচাতে গিয়ে যেন বিপত্তি না বাড়ে তার জন্য নিকট আত্মীয়রা রক্তদান থেকে বিরত থাকাটাই সবচাইতে সহজ সমাধান।
রক্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কি করা উচিত
- রক্তবাহিত রোগে সংক্রমিত হলে রক্তদান করা থেকে বিরত থাকা।
- সকলকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করা এবং নিজের নিয়মিত রক্ত দান করা।
- পেশাদার রক্তদাতার রক্ত কেনা থেকে বিরত থাকা।
- শুধুমাত্র নিবন্ধনকৃত ব্লাড ব্যাংকে রক্তদান এবং রক্ত গ্রহণ করতে হবে।
- নিকটস্থ ব্লাড ব্যাংকের ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার জেনে রাখা উচিত।
- নিজের, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনের রক্তের গ্রুপ জেনে রাখা।
শেষ কথাঃ রক্তদান করার পর শরীরে যে সকল লক্ষণে বুঝবেন বিপদ
রক্তদান করার পর শরীরে যে সকল লক্ষণে বুঝবেন বিপদ রক্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কি করা উচিত সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। রক্তদান করার পর শরীরে যে সকল লক্ষণে বুঝবেন বিপদ সে সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
আজ আর নয়, রক্তদান করার পর শরীরে যে সকল লক্ষণে বুঝবেন বিপদ সে সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই রক্তদান করার পর শরীরে যে সকল লক্ষণে বুঝবেন বিপদ সে সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url