ফুসফুস টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কি
ফুসফুস টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হবে। তাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে ফুসফুস টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কি? তা জানতে পারবেন। ফুসফুস টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিম্নরূপ।
পেজ সূচিপত্র: ফুসফুস টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কি
ভূমিকা
ফুসফুস টিউমার হলে এর কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। ফুসফুস টিউমারের যে সকল লক্ষণ রয়েছে, সেই লক্ষণ গুলো জেনে রাখলে ফুসফুসে টিউমার হয়েছে কিনা তা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন তাই ফুসফুস টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কি? সে সম্পর্কে জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফুসফুস টিমারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি ফুসফুস টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে মনোযোগ দিয়ে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
ফুসফুস টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কি
ফুসফুসে যদি টিউমার হয়ে থাকে তাহলে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পায় সেগুলো নিচে তুলে ধরা হবে। তো কথা না বাড়িয়ে আসুন দেখে নেয়া যাক, ফুসফুস টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কি? সেই বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
- দীর্ঘমেয়াদি কাশি যা ক্রমাগত বাড়তেই থাকে: যদি ফুসফুসে টিউমার হয় তাহলে দীর্ঘমেয়াদি কাশি হতে পারে। এবং কাশি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাবে। কোন ঔষধেই কাশি যদি না সেরে উঠে তাহলে ধরে নিতে পারেন যে আপনার ফুসফুসে টিউমার হয়েছে। তাই দীর্ঘমেয়াদি কাশি থাকলে যত দ্রুত সম্ভব আপনাকে ডাক্তার এদের শরণাপন্ন হতে হবে।
- বুকে ব্যথা হওয়া: ফুসফুসে টিউমার হলে আরেকটি লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে আর তা হলো বুকে ব্যথা হওয়া। কোনো কারণ ছাড়াই যদি বুকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে পারেন যে, আপনার ফুসফুসে টিউমার হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি বুকে ব্যথা ফুসফুসে টিউমারের অন্যতম একটি লক্ষণ। তাই বুকে ব্যথা হলে ঘরে বসে না থেকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
- নিঃশ্বাস খাটো হয়ে যাওয়া: আপনি কি অল্প পরিশ্রম করালেই হাঁপিয়ে যান, বা ক্রমান্বয়ে নিঃশ্বাস খাটো হয়ে আসছে? তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কেননা নিঃশ্বাস খাটো হয়ে যাওয়া ফুসফুস টিউমারের অন্যতম একটি লক্ষণ।
- কফের সাথে রক্ত নির্গত হওয়া: যদি ফুসফুসে টিউমার হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে কাফের সাথে রক্ত নির্গত হতে পারে। তাই যদি দেখতে পান যে কফের সাথে রক্ত যাচ্ছে তাহলে আপনার উচিত হবে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা।
- সব সময় ক্লান্ত বোধ: সব সময় যদি ক্লান্তি ভাব থাকে তাহলে সেটাও হতে পারে ফুসফুসে ক্যান্সারের অন্যতম আরেকটি লক্ষণ। কেননা ফুসফুসে ক্যান্সার হলে সব সময় ক্লান্তি বোধ হতে পারে। তাই অকারণে যদি আপনি ক্লান্ত বোধ করেন তাহলে পরীক্ষা করতে হবে যে, ফুসফুসে ক্যান্সার হয়েছে কিনা।
- কোনো কারণ ছাড়াই ক্রমাগত ওজন কমতে থাকা: ক্রমাগত ভাবে যদি আপনার ওজন কমতে থাকে তাহলে ধরে নিতে পারেন যে আপনার ফুসফুসে টিউমার হয়েছে। কোন কারণ ছাড়াই ক্রমা গত ভাবে ওজন কমে যাওয়া ফুসফুসে টিউমারের অন্যতম একটি কারণ।
কোন ১০টি লক্ষণে বুঝবেন আপনার ফুসফুস টিউমার হয়েছে
ফুসফুস টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কি? সে বিষয় সম্পর্কে ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আর্টিকেলটির এই অংশে আরো ১০টি লক্ষণ তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি ফুসফুসে টিউমারের কমন ১০টি লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে নিচে উল্লেখিত তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়ুন।
- কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হওয়া।
- জয়েন্টে ব্যথা হওয়া।
- মাথা ব্যথা হওয়া।
- মেরুদন্ডে ব্যথা হওয়া।
- ঘ্রাণ শক্তি কমে যাওয়া।
- ক্ষুধা কমে যাওয়া।
- শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণে সমস্যা হওয়া।
- ঘাড়ে ব্যথা হওয়া।
- জ্বর হওয়া।
- আঙ্গুল ফুলে যাওয়া।
ফুসফুস টিউমার প্রতিকারের উপায় কি
আপনি যদি প্রথম থেকে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই ফুসফুস টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কি? সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কেননা ফুসফুসে টিউমারের লক্ষণ সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নিচে ফুসফুস টিউমার প্রতিকারের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আসুন দেখে নেই, ফুসফুস টিউমার প্রতিকারের উপায় কি? সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
- ধূমপান পরিহার করুন: আপনি যদি ফুসফুসের টিউমার থেকে মুক্তি পেতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ধূমপান সম্পূর্ণ রূপে পরিহার করতে হবে। কেননা ফুসফুসে টিউমারের অন্যতম কারণ হলো ধূমপান। ধূমপান পরিহার না করলে আপনি যতই ঔষধ সেবন করেন না কেন কখনোই আপনি ফুসফুসের টিউমার থেকে মুক্তি পাবেন না।
- ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন: ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করলে ফুসফুস টিউমারের প্রকোপ কমে যায়। তাই আপনি ফুসফুস টিউমার থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করলে তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে তা ফুসফুসে টিউমার নিরাময়ের সহায়তা করে।
- বেশি বেশি শাকসবজি খান: আপনি যদি ফুসফুস টিউমার থেকে মুক্তি পেতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বেশি বেশি শাক-সবজি খেতে হবে। শাক-সবজিতে থাকা পুষ্টিগুণ খুব সহজেই ফুসফুসের টিউমারের প্রকোপ কমিয়ে আনবে। বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে যা ফুসফুসের টিউমার নিরাময়ে সহায়তা করে। তাই ফুসফুসের টিউমার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে বেশি বেশি শাক-সবজি খেতে হবে।
- শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ হতে পারে এমন কাজকর্ম থেকে বিরত থাকুন: শ্বাস যন্ত্রে সংক্রমণ হতে পারে এই ধরনের ঔষধ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে এই ধরনের কাজ থেকেও বিরত থাকতে বলে। তাই ওষুধ সেবন করার পূর্বে ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে যে তার শ্বাস যন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর কিনা।
- দূষিত বায়ুযুক্ত স্থান পরিত্যাগ করা: দূষিত বায়ুযুক্ত স্থানে বসবাস করলে ফুসফুসে টিউমার হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে দূষিত বায়ুযুক্ত স্থান পরিত্যাগ করতে হবে এবং বিশুদ্ধ বায়ুযুক্ত স্থানে বসবাস করতে হবে। কেননা দূষিত বায়ুযুক্ত স্থানে বসবাস করলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি দূষিত বায়ু গ্রহণ করবেন। আর দূষিত বায়ু গ্রহণ করলে তা ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই আপনি ঘরের ভেতরে দূষণমুক্ত বায়ু সরবরাহের জন্য এয়ার ফিল্টার ব্যবহার করতে পারেন। আর বাইরে বেরোনোর সময় সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে দূষিত বায়ু থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা ফুসফুসের টিউমার নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে। সুতরাং আপনি যদি ফুসফুসের টিউমার থেকে মুক্তি পেতে চান সেক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। নিয়মিতত ব্যায়াম করলে তা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং ফুসফুসের ক্যান্সারকে নিরাময় করে। তাই ফুসফুসের টিউমার থেকে মুক্তি পেতে ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি টিউমার হওয়ার আগেই নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে ফুসফুস টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
শেষ কথা
ফুসফুস টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কি? আশা করি তা জানতে পেরেছেন। কেননা ফুসফুসের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি আশা করি আপনার উপকারে আসবে। চাইলে তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি আপনি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন। এতে করে অন্যরাও ফুসফুসের টিউমার সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে। ১৬৪১৩
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url