এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিত

এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিত? এ বিষয়টি একজন এইডস রোগীর জানা অত্যন্ত জরুরী। যেহেতু এই লোকটি একটি অপরিচিত রোগ তাই এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিত? এ সম্পর্কে অনেকেরই কোন ধারণা থাকে না। এই আর্টিকেলে এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিত? সে সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিত? জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিত

এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিতঃ ভূমিকা

আপনারা যারা আমাদের আর্টিকেল পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিত? এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন? আমরা জানি এইডস রোগ হল একটি মরণব্যাধি। এখনো এইডস রোগের সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা আবিষ্কার করা হয়নি। তবে কিছু করণীয় এবং বেশ কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা রয়েছে যেগুলো দ্বারা এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ সকালে ব্যায়াম করার ১০টি উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার দশটি নিয়ম

আজকের এই আর্টিকেলে এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিত? এইডস রোগের চিকিৎসা কিভাবে করতে হবে? এইডস রোগ হওয়ার মূল কারণ সমূহ, এইডস রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

এইডস রোগের চিকিৎসা কিভাবে করতে হবে

প্রতিটি রোগের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে ঠিক তেমন এইডস রোগের কিছু লক্ষণ রয়েছে। অবশ্যই যদি সে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তাহলে আমাদেরকে বুঝতে হবে আমরা এইডস রোগে আক্রান্ত। এখন এইডস রোগের চিকিৎসা কিভাবে করতে হবে? সে সম্পর্কে জেনে আমাদেরকে এ রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

এইডস রোগীর চিকিৎসা গতানুগতিক রোগীদের তুলনায় একটু আলাদা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে রোগীর রোগটি সম্পর্কে সকলে যেন না জানতে পারে সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ আমাদের সমাজের মানুষ এই রোগকে খারাপ চোখে দেখে থাকে। মানুষের মনের ভেতরে খারাপ চিন্তা ভাবনা কাজ করে এবং রোগী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে।

তাই এইডস রোগের প্রথম চিকিৎসা হলো এ রোগ নির্ণয়ের আগে রোগীর আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নেওয়া এবং রোগীকে মানসিকভাবে তৈরি করা। যদি এইচআইভি টেস্ট করার পরে রেজাল্ট নেগেটিভ আসে তখন রোগীকে পরামর্শ দেওয়া হয় কিভাবে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। আর যদি পজেটিভ আসে তাহলে এর চিকিৎসা শুরু করা হয়।

প্রথমে রোগীর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হয়। রোগী কি ধরনের কাজ করে? সে কোন ধরনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছে কিনা? এছাড়া আরো অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে জানতে হয়। এরপরে প্রথমে রোগীকে মানসিকভাবে তৈরি করতে হয়। কারণ আমরা সকলেই জানি যে এইডস রোগের কোন চিকিৎসা নেই।

তাই এইডস রোগীর প্রথম চিকিৎসা হলো তাকে মানসিকভাবে তৈরি করা। রোগীকে যেমন মানসিকভাবে তৈরি করতে হবে ঠিক তার পাশাপাশি পরিবারের আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতা ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এইচআইভি ভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হলো সামাজিক বাধা।

পরে রোগীকে চিকিৎসা স্বরূপ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অনুমোদিত সেগুলো দেওয়া হয়। আশা করি এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিত? সে সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছেন।

এইডস রোগ হওয়ার মূল কারণ সমূহ

আমরা অনেকেই এইডস রোগ হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানি আবার অনেকেই এর কারণ সম্পর্কে অবগত নয়। এ রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা করার আগে আমাদেরকে এইডস রোগ হওয়ার মূল কারণ সমূহ সম্পর্কে প্রথমে জানতে হবে। আমরা যদি কারণ সম্পর্কে জানতে পারি তাহলে খুব সহজেই এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিত? তা জানতে পারবো।

আরো পড়ুনঃ ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয় - ১০ টি ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়

  • অসুরক্ষিত যৌন মিলন
  • বীর্য অথবা রক্তের মাধ্যমে
  • একই ইনজেকশন বারবার ব্যবহার
  • এইডস রোগের সুচ ব্যবহার
  • অনিরাপদ রক্ত গ্রহণ

অসুরক্ষিত যৌন মিলন - ছেলে অথবা মেয়ে যে কোন একজন যদি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং যৌন মিলন করে তাহলে যৌন মিলনের কারণে উভয়েরই এইডস রোগ হয়ে থাকে। এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌন মিলন করলে এইডস রোগ হয়ে থাকে।

বীর্য অথবা রক্তের মাধ্যমে - বীর্য অথবা রক্তের মাধ্যমে যদি এইচআইভি ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যার ফলে এইডস রোগ হয়ে থাকে।

একই ইনজেকশন বারবার ব্যবহার - অনেক ক্ষেত্রে ইনজেকশন নেওয়ার পরে একই ইনজেকশন অনেকের শরীরে করা হয়। একই ইনজেকশন প্রতিবার ভিন্ন মানুষের শরীরে করার ফলে এইডস রোগ হয়ে থাকে।

এইডস রোগের সুচ ব্যবহার যদি কোন এইডস আক্রান্ত রোগীর শরীরে সুচ ফোটানো থাকে এবং একই সুচ অন্য কারো শরীরে ফোড়ানো হয় তাহলে এইডস রোগ সংক্রমিত হতে পারে।

অনিরাপদ রক্ত গ্রহণ - অনিরাপদ রক্ত শরীরে সঞ্চালিত হয় তাহলে এইচআইভি ভাইরাস সহজেই রক্তের সাথে শরীরে প্রবেশ করে যার ফলে এইডস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই রক্ত নেওয়ার সময় অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে হবে।

এইডস রোগের চিকিৎসা

আপনারা যারা এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিত? এ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের বলে রাখি যে এইডস রোগের কোন চিকিৎসা নেই। এখন পর্যন্ত এইডস রোগের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করার মাধ্যমে আমরা এইডস রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি।

এইডস রোগের চিকিৎসা কিভাবে করতে হবে এইডসের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় না। বেশিরভাগ রোগী বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেন। তবে তাদের নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে নিয়মিত ওষুধ সরবরাহ করতে হয় এবং চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়। বড়দের ক্ষেত্রে মুখে খাওয়ার ওষুধ আর শিশুদের জন্য সিরাপ দেয়া হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি। তবে দেশে চিকিৎসার আওতায় রয়েছে মাত্র আট হাজার রোগী। এই আক্রান্ত হয়ে এই বছরে বাংলাদেশে মৃত্যু হয়েছে ২০৫ জনের। আর এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৮৮ জনের। তবে বিশ্বব্যাপী আধুনিক ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উদ্ভাবনের ফলে এইডসে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুহার অনেক কমে এসেছে।

এখন সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে এইডস আক্রান্ত হলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভবতবে কারও যদি এইডসের পাশাপাশি অন্য কোন শারীরিক জটিলতা থাকে, তাহলে তার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেই রোগের চিকিৎসা নিতে হবে। এইডস রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

তথ্যঃ বিবিসি

এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিতঃ উপসংহার

এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিত? এইডস রোগের চিকিৎসা কিভাবে করতে হবে? এইডস রোগ হওয়ার মূল কারণ সমূহ, এইডস রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।

আরো পড়ুনঃ টিউমার ভালো করার ৯ টি উপায়

আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। ২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url