যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে
অবশ্যই ফুসফুসকে সুন্দর এবং সুস্থ রাখার জন্য যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে সে সম্পর্কে জানা উচিত। কারণ ফুসফুস আমাদের দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তাই এটির যত্ন নেওয়া আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে? সে সম্পর্কে জানানো হবে।
তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সূচিপত্রঃ যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে
- যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে
- ফুসফুস ভালো রাখার খাবার গুলো কি কি
- ফুসফুস পরিষ্কার করার উপায়
- ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ
- আমাদের শেষ কথা
যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে তা জেনে নিন
আমাদের শরীরের মধ্যে ফুসফুস হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। সাধারণত রক্ত পরিষ্কার হয়ে ফুসফুসের মাধ্যমেই পুরা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা যদি সুস্থ থাকতে চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই ফুসফুসের যত্ন নিতে হবে। ফুসফুসের বিভিন্ন রকমের সমস্যা সমাধান করতে এবং ফুসফুস কে সতেজ রাখতে বেশ কিছু খাবার খাওয়া জরুরী। যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে সে সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো।
আরো পড়ুনঃ রক্ত সংগ্রহের সময় যে বিষয়গুলো লক্ষণীয়
যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে তা জেনে নেওয়া যাকঃ
- আমলকি
- টমেটো
- তুলসী পাতা
- লেবু
- হলুদ
- সবুজ চা
- গুড়
- সবুজ শাকসবজি
- আপেল
- পেয়ারা
আমলকি - বিভিন্ন রকমের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নিয়মিত যদি আমলকি খাওয়া যায় তাহলে চাকরিতে ধূলিকণা সব ক্ষতি কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যার অকৃত ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং সর্দি কাশি থেকে আমাদের মুক্তি দিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আমলকি জুস শরীর এবং ফুসফুসের জন্য কার্যকরী তা উল্লেখ করা হয়েছে।
টমেটো - শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে টমেটো বেশ কার্যকরী একটি ফল। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে টমেটো এসব কার্যকারিতার কথা বলা হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে টমেটোর মধ্যে। এছাড়া বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার প্রতিরোধে টমেটো কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এবং আমাদের ফুসফুস কে সাথে রাখতে টমেটোর ভূমিকা রয়েছে।
তুলসী পাতা - তুলসী পাতার অনেক গুনাগুন আছে তা আমরা জানি। কিন্তু আমরা কয়জন জানি যে ফুসফুস কে সুস্থ রাখতে এবং বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তুলসী পাতা বেশ কার্যকরী। এছাড়া বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে তুলসী গাছ। আমাদের ফুসফুস কে সতেজ এবং সুস্থ রাখতে তুলসী পাতার কার্যকরী ভূমিকা পাওয়া যায়।
লেবু - আমরা সকলেই জানি যে কমলা এবং লেবুতে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এবং আমাদের ফুসফুসের জন্য অনেক কার্যকরী। লেবু জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে ফুসফুসে বায়ুর ক্ষতিকর উপাদান গুলোর প্রভাব পড়তে পারে না। এছাড়া আমাদের ফুসফুস কে সুন্দর এবং সতেজ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
হলুদ - আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য হলুদ এর অনেক কার্যকরিতা রয়েছে এর মধ্যে দূষিত কণার প্রভাব থেকে ফুসফুস কে রক্ষা করতে হলুদ ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা যেমন এ সকল সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে হলুদের মধ্যে থাকা উপাদানগুলো।
সবুজ চা - গ্রিন টি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কেউ যদি শরীরকে সুস্থ রাখতে চাই তাহলে প্রতিদিন দুই কাপ করে গ্রিন টি খেতে পারেন। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ গুলো বের করতে গ্রীন টির ভূমিকা অনেক বেশি। এছাড়া আমাদের ফুসফুস কে সুস্থ এবং সতেজ রাখতে গ্রিন টির ভূমিকা অনেক।
গুড় - অ্যাজমার মত সমস্যা এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাগুলো দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে গুড়। আমরা যদি তিলের সঙ্গে গুঁড় মিশিয়ে খেতে পারি তাহলে এটি আমাদের বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
সবুজ শাকসবজি - সবুজ শাকসবজির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পুষ্টি উপাদান। এই পুষ্টি উপাদানগুলো আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন রকমের দূষিত পদার্থগুলো বের করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আমাদের শরীরকে এবং আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আপেল - ফুসফুস এর জন্য আপেল খুবই কার্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। কেউ যদি ফুসফুসকে সাথে রাখতে চাই এবং সহজলভ্য খাবার খুঁজতে চাই তাহলে সে নিয়মিত আপেল খেতে পারে। নিয়মিত আপেল খেলে এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো ফুসফুস কে সতেজ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
পেয়ারা - পেয়ারা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী এবং ফুসফুস এর সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এমন ফল। পেয়ারা খুবই সহজলভ্য একটি ফল। যদি কেউ তার ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে চাই এবং এর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাই তাহলে পেয়ারা খেতে পারেন নিয়মিত।
ফুসফুস ভালো রাখার খাবার গুলো কি কি
বিভিন্ন রকমের খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের ফুসফুস এর ক্ষতি হয় আবার বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের ফুসফুস ভালো থাকে। সাধারণত খাবার আমাদের ফুসফুস কে ভালো রাখার জন্য অনেকটা দায়ী আবার ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের জন্য খাবার দায়ী। আমাদের শরীরের জন্য ফুসফুস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তাই আমাদেরকে যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে? সেগুলো সম্পর্কে জেনে তা গ্রহণ করতে হবে।
মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে ফুসফুস। শরীরের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে ফুসফুসের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত বায়ু দূষণ ও ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্ষতি হয়ে থাকে তবে বেশ কিছু খাবার রয়েছে যা ফুসফুসের জন্য অনেক ভালো। আমরা যদি দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ফুসফুস ভালো রাখার খাবার গুলো কি কি? সেগুলো জেনে রাখতে পারি তাহলে আমাদের ফুসফুস সুস্থ থাকবে।
আরো পড়ুনঃ রক্ত সংগ্রহের সময় যে বিষয়গুলো লক্ষণীয়
ফুসফুস ভালো রাখার খাবার গুলো কি কি তা জেনে নেওয়া যাকঃ
১। সামুদ্রিক মাছ আমাদের ফুসফুসের জন্য অনেক কার্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২। বাদাম ও বীজ ফুসফুসের জন্য খুবই কার্যকরী। কার্যবাদাম চীনা বাদাম মিষ্টি কুমড়া বীজ, সূর্যমুখীর বীজ প্রয়োজনীয় খনিজ এগুলো থাকায় শ্বাসযন্ত্রের জন্য এগুলো খুবই কার্যকরী এবং ভালো।
৩। আদা রসুন ফুসফুসের জন্য অনেক ভালো। ফুসফুসের বিভিন্ন রকমের সমস্যার সমাধান করতে এর পুষ্টি উপাদান গুলো ভূমিকা রাখে। এসব মসলায় থাকা এন্ট্রি ফিলেমেন্টরি উপাদান ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে এবং কার্যকারিতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
ফুসফুস পরিষ্কার করার উপায়
আমাদের ফুসফুস কে ভালো রাখতে হলে অবশ্যই ফুসফুস কে পরিষ্কার রাখতে হবে। ফুসফুস কে পরিষ্কার রাখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় রয়েছে। যেহেতু ফুসফুস আমাদের দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ তাই ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে আমরা বিভিন্ন রকমের উপায় অবলম্বন করতে পারি। ফুসফুস পরিষ্কার করার উপায় গুলোর নিচে উল্লেখ করা হলো।
১। মধুতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ক্ষমতা। এছাড়া এর মধ্যে থাকা বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান আমাদের ফুসফুস কে পরিষ্কার করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিন যদি এক চামচ করে মধু খাওয়া যায় তাহলে এটি ফুসফুসের জন্য অনেক উপকারী।
২। কাজু, পেস্তা, চিনা বাদামসহ মিষ্টি কুমড়ার বীজ ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। এর সঙ্গে রয়েছে খনেশ লবণ ওমেগা থ্রি ফাটিয়াসিড। এসব খাবার ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ এবং প্রদাহ জনিত সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে।
৩। তুলসির পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ফুসফুসের সুরক্ষার জন্য খুবই কার্যকরী। বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে তুলসী।
৪। আমরা যদি ফুসফুস কে ভালো রাখতে চাই তাহলে কালোজিরা খেতে পারেন নিয়মিত। কারণ ফুসফুসকে ভালো রাখার জন্য কালোজিরা বেশ কার্যকরী। প্রতিদিন আধা চামচ কালোজিরা সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে তা খেলে ফুসফুস সুস্থ এবং ভালো থাকবে।
৫। ফুসফুস কে ভালো রাখতে হলে রসুন বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। রসুনের মধ্যে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শাসন আলীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ভাইরাসনিত সমস্যা সমাধান করতে ভূমিকা রাখে।
ফুসফুস ক্যান্সার এর লক্ষণ
উপরের আলোচনায় আমরা ইতিমধ্যে যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে এই সম্পর্কে জেনে এসেছি। যেহেতু ফুসফুস আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী তাই প্রশ্নের ভালো রাখার উপায় গুলো জেনে নেওয়া জরুরী। এখন ফুসফুস ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জানব।
- দীর্ঘ সময় ধরে কাশি
- কাশির সময় অথবা এমনিতেই বুক ব্যথা
- কাশির সাথে রক্ত যাওয়া
- শ্বাসকষ্ট হওয়া
- কাশি সাথে জ্বর
দীর্ঘ সময় ধরে কাশি - বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে কাশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে শুকনো কাশি অথবা ঘন ঘন কাশি হতে পারে, কাশির সাথে অতিমাত্রায় কফ যেতে পারে অথবা রাতের দিকে কাশি প্রচণ্ড বেড়ে যেতে পারে।
কাশির সময় অথবা এমনিতেই বুক ব্যথা - প্রায় ৩০% ফুসফুস ক্যান্সারের রোগীর ক্ষেত্রে এই লক্ষণটি দেখা যায়। ফুসফুস ক্যান্সার হলে কাশির সময় অতিরিক্ত বুকে ব্যথা হয় আবার অনেক সময় এমনিতেও বুকে ব্যথা হতে পারে।
কাশির সাথে রক্ত বের হওয়া - এটিও ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ এবং ধূমপানকারী পুরুষ রোগীদের ক্ষেত্রে লক্ষণটি বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে কফের সাথে অথবা থুতুর বা লালার সাথে রক্ত যায় এবং দেখা যায় ফুসফুস এর কোন না কোন জায়গায় বারবার ইনফেকশন হয়।
আরো পড়ুনঃ বিয়ের আগে ছেলেদের শারীরিক প্রস্তুতি
শ্বাসকষ্ট হওয়া - ক্যান্সারের কারণে ফুসফুসের শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। সাধারণত শ্বাসকষ্ট হওয়া ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম একটি লক্ষণ।
কাশির সাথে জ্বর থাকা - ক্যান্সারের প্রদাহের কারণে জ্বর হয়ে থাকে এবং শরীরের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি এর নিচে থাকে। এক্ষেত্রে কোন অ্যান্টিবায়োটিক ও কাজ করে না এবং বার বার জ্বর আসতে থাকে।
আমাদের শেষ কথাঃ যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে যে ১০টি খাবার ফুসফুসকে সতেজ রাখে, ফুসফুস ভালো রাখার খাবার গুলো কি কি? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। ফুসফুস আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ তাই একে সতেজ রাখার জন্য খাবার গুলো জানা জরুরী।
আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন। ২০৭৯১
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url