কিভাবে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করবেন

কিভাবে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করবেন? এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান? আপনাকে স্বাগতম। পটাশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান। কিন্তু পটাশিয়াম যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে কিভাবে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করবেন? সে সম্পর্কে অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। কিভাবে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করবেন? বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে কিভাবে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করবেন? এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কিভাবে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করবেন? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করবেন

কিভাবে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করবেনঃ ভূমিকা

আমাদের শরীরের জন্য পটাশিয়াম প্রয়োজন কিন্তু যদি পটাশিয়াম অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন এবং সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের শরীরে যেন পটাশিয়াম এর ভারসাম্য বজায় থাকে চাহিদার চাইতে অতিরিক্ত না হয়ে যায় তাই আমাদেরকে সবসময় বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি পটাশিয়াম বেশি হয়ে যায় তাহলে কিভাবে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করবেন? এ বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে।

আরো পড়ুনঃ প্রেসার লো হলে করণীয় ১৫ টি কাজ - প্রেসার লো এর ১৬ লক্ষণ

এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে পটাশিয়াম এর অভাব বোঝার উপায়, অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করার উপায়, অধিক পটাশিয়ামযুক্ত খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনার যদি পটাশিয়াম সম্পর্কে ধারণা না থাকে এবং বিষয়গুলো জানতে চান তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

পটাশিয়াম এর অভাব বোঝার উপায়

পুষ্টিবিজ্ঞান এর তথ্য অনুযায়ী ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এর মত পটাশিয়াম হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আর এই উপাদান সহজে সব খাবারে পাওয়া যায় না। টক জাতীয় ফল, কলা টমেটো এ ধরনের খাবারে পটাশিয়াম এর ভালো উৎস পাওয়া যায়। আবার শরীরের জন্য অতিরিক্ত পটাশিয়াম ভালো নয়। যদি শরীরে অতিরিক্ত পটাশিয়াম বৃদ্ধি পায় তাহলে এটি বুঝে তারপরে কিভাবে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করবেন? এ বিষয়ে ধারণা রাখতে হবে।

  • পেশির দুর্বলতা
  • অপুষ্টিকর খাবার
  • পেশীতে টান
  • পানি শূন্যতা
  • হৃদপিন্ডে অস্বাভাবিক গতি

পেশির দুর্বলতা -- শরীরে যদি পটাশিয়াম এর অভাব থাকে তাহলে পেশীতে দুর্বলতা দেখা দিবে। কারণ আমাদের পেশী গঠনের জন্য পটাশিয়ামের প্রয়োজন। কারণ এটি একটি ইলেকট্রোলাইট। পটাশিয়াম কম হওয়ার প্রথম লক্ষণ হতে পারে পেশির সংকোচন।

অপুষ্টিকর খাবার -- অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন বিস্কুট চিফ সহ এ ধরনের খাবারগুলো সহজেই খাওয়া যায়। প্রতিদিন যদি এই ধরনের খাবার বেশি খাওয়া হয় আর ফলমূল এবং সবজি খাওয়ার পরিমাণ খুবই কম হয়। তাহলে সহজেই ধরে নেওয়া যায় শরীরে পটাশিয়াম এর অভাব রয়েছে।

পেশীতে টান -- আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে পেশী গঠনে ভূমিকা রাখে পটাশিয়াম। তাই শরীরে যদি পটাশিয়ামের অভাব থাকে তাহলে আমাদের পেশি গুলোতে টান পড়বে।

পানি শূন্যতা - ইলেক্ট্রো লাইটের ভারসাম্যহীনতা যেমন পটাশিয়ামের স্বল্পতার কারণ হতে পারে পানি শূন্যতা। এর কারণে অরুচি সহ বিমানে ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে কেউ যদি ডাবের পানি খায় তাহলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।

হৃদপিন্ডে অস্বাভাবিক গতি -- শরীরে যদি পটাশিয়াম অতিরিক্ত মাত্রায় কমে যায় তাহলে এই হৃদ স্পন্দন কম হতে পারে। কারো যদি হৃদস্পন্দন কম হয় তাহলে বুঝতে হবে তার শরীরে পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিয়েছে।

অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করার উপায় - কিভাবে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করবেন

আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পটাশিয়াম। যদি শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা যায় তাহলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে আবার যদি পটাশিয়াম অতিরিক্ত পরিমাণে হয়ে থাকে তাহলে ও শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেজন্য আমাদেরকে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করার উপায় জানতে হবে।

সারাদিন শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়াম ফসফরাস অর্থাৎ ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে কিডনি ভূমিকা পালন করে। যদি কারো দীর্ঘদিন ধরে কিনে সমস্যা থাকে তাহলে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তখন শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আবার শরীরে যদি অতিরিক্ত পটাশিয়াম তৈরি হয় সেটাও শরীরের জন্য মারাত্মক।

যদি শরীরে অতিরিক্ত পটাশিয়াম হয় তখন কিডনির উপর চাপ বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ধূমপান লিঙ্গ এবং বয়স কিডনি রোগীর ঝুঁকি অনেক গুনে বাড়িয়ে দেয়। রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা উচ্চ রক্তচাপ কিডনির রক্তনালির ক্ষতি করে। যার ফলে কিডনি সর্বোত্তমভাবে কাজ করতে পারে না আর তখন রক্তে খাদ্যের বজ্র পদার্থ জমা হয় যার ফলে শরীরে সমস্যা দেখা দেয়।

আপনি যদি পটাশিয়াম এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে কোন কোন খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে সেই সম্পর্কে আগে জেনে নেওয়া জরুরী। সব ধরনের ডাল, সয়াবিন, বিট, ফুলকপি, সজিনা, মিষ্টি কুমড়া বিচি, বাদাম সরিষা খেজুর কলা, ডাবের পানি, পালং শাক, আলু, কমলি শাক ইত্যাদি খাদ্যগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে।

আরো পড়ুনঃ সকালে ব্যায়াম করার ১০টি উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার দশটি নিয়ম

আপনি যদি আপনার শরীরের পটাশিয়াম এর ভারসাম্য বজায় রাখতে চান তাহলে উপরের খাবার গুলো বেশি করে খেতে পারেন। আবার আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত পটাশিয়াম থাকে তাহলে এই খাবারগুলো বাদ দিয়ে কম পটাশিয়ামযুক্ত খাবার যেমন বেগুন, গাজর, শসা, বাধাকপি, কাঁচা পেঁপে, আপেল নাশপাতি, লিচু কমলা, তরমুজ এই খাবারগুলো খেতে পারেন।

অধিক পটাশিয়ামযুক্ত খাবার

আমাদের শরীরের যদি কোনো কারণে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা যায় তাহলে আমাদের অবশ্যই অধিক পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হবে। অধিক পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীর থেকে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে পারব। আপনাদের জানার সুবিধার্থে অধিক পটাশিয়ামযুক্ত খাবার নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • টমেটোর সস
  • সাদা ও মিষ্টি আলু
  • বিট
  • মটরশুঁটি
  • দই
  • তরমুজ
  • পালং শাক

টমেটোর সস -- আমাদের মধ্যে অনেকেই জানে না যে টমেটোর সস হলো পটাশিয়ামের ভালো উৎস। আপনারা শুনে হয়তোবা অনেক অবাক হবেন যে বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুটে যে সকল টমেটো সস ব্যবহার করা হয় সেগুলোর এক কাপের মধ্যে প্রায় ৯০৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকতে পারে।

সাদা ও মিষ্টি আলু -- আলু হচ্ছে আমাদের সবথেকে কমন একটি খাবার। একটি মিষ্টি আলুতে ৪৩৮ গ্রাম পটাশিয়াম থাকতে পারে। অপরদিকে সাদা আলুর ক্ষেত্রে এর পরিমাণ হতে পারে দ্বিগুণ। তাই পটাশিয়ামের ঘাটতি কমাতে সাদা আলু অথবা মিষ্টি আলু খেতে পারেন।

বিট -- এক কাপ বিট এর মধ্যে পাওয়া যেতে পারে ৬৫৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। এটি খুবই সহজলভ্য একটি খাবার। পটাশিয়ামের ঘাটতি কমাতে আপনি এটি নিয়মিত খেতে পারেন। এছাড়া এই খাবারের মাধ্যমে ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস এবং ভিটামিন সি এবং আয়রনের ঘাটতি কমবে।

মটরশুঁটি -- আমরা সকলেই মটরশুটি চিনি কিন্তু মটরশুঁটি যে পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস এটি আমরা অনেকেই জানিনা। এক কাপ মটর শুটির মধ্যে ১১৯০ গ্রাম পটাশিয়াম থাকতে পারে। পটাশিয়ামের ঘাটতি কমাতে মটরশুঁটি খেতে পারেন।

দই -- সাধারণত যখন বাসায় ভালো কোন খাবার হয় অথবা মেহমান আসে তখন আমরা দই খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনাদের জানিয়ে রাখি যে দই হলো পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস। তাই শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি কমাতে দই খেতে পারেন।

তরমুজ -- দুই ফালি তরমুজ এর মধ্যে থাকতে পারে ৬৪০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম। এর পাশাপাশি তরমুজের আরো অনেক গুনাগুন এবং পুষ্টি রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ।

পালং শাক -- পালং শাককে পটাশিয়ামের ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয় আমরা যদি পটাশিয়ামের ঘাটতি কমাতে চাই তাহলে নিয়মিত খেতে পারি।

কিভাবে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করবেনঃ উপসংহার

পটাশিয়াম এর অভাব বোঝার উপায়, অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করার উপায়, অধিক পটাশিয়ামযুক্ত খাবার, কিভাবে অতিরিক্ত পটাশিয়াম দূর করবেন? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।

আরো পড়ুনঃ টিউমার ভালো করার ৯ টি উপায়

আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url